<h1> অনুশোচনা <h1>



 


অনুশোচনা

৪)🇧🇩🇧🇩২৬/০৯/২০২১ইং ✍️ জাকারিয়া মুজাহিদ আমি তো আমার জীবন চিনি হোও যানি মোর জীবনের কতশত ভুল ওগো প্রভু মালিক তুমি ক্ষমা করো (২) ক্ষিণ এই জীবনে নেই কোন পুণ্য আছে শুধু পাতা জোড়া সব অপকর্ম ওগো প্রভু মালিক তুমি ক্ষমা করোও ক্ষমা করো পাপের কালিতে করেছে কাল , জীবনের প্রতিটি অঙ্গ রঙ্গ ক্ষমা চাই ক্ষমা চাই তোমার কাছে পানাহার মোরা রাসুল নামে ( ঔ) হাফপ্যান্ট পরা যুবকদের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে, যা আগে আমাদের সমাজে কল্পনাও করা যেতো না৷ অথচ হাঁটু ঢেকে কাপড় পরা ফরয৷ হাঁটু খোলা রাখা হারাম৷ আর এটা এমন হারাম যা গোপনে নয়, প্রতিনিয়ত জনসম্মুখে লিপ্ত হতে হয়৷ আমাদের মুসলিম যুবকদের মাঝে সেই হারামে লিপ্ত হওয়ার প্রবণতা ও ঝোঁক বেড়েই চলেছে৷ কোনো গোনাহ প্রকাশ্য করতে করতে একসময় ভেতর থেকে অনুশোচনা বা অপরাধবোধের অনুভূতিটুকু বিনষ্ট হয়ে যায়৷ ১,★হাদীসে এসেছে রাসূল ﷺ বলেছেন- আমার উম্মতের সবাইকে মাফ করে দেয়া হবে, কেবল প্রকাশ্য গোনাহকারী ছাড়া৷ (সহীহ বুখারী ও মুসলিম) ★কারণ- - প্রকাশ্য গোনাহকারীর মধ্যে অপরাধবোধের পরিবর্তে তার ভেতর গোনাহের উপর একপ্রকার অহংবোধ চলে আসে৷ যেন ড্যামকেয়ার ভাব৷ -®®® প্রকাশ্য গোনাহকারী তার কৃত গোনাহের দিকে অপরকে আহবান করতে থাকে৷ মৌখিক আহবান নয়, নিজে আমলের মাধ্যমে নিরব আহবান৷ - ©©©প্রকাশ্য গোনাহকারী অপরকে তার গোনাহের সাক্ষী বানিয়ে নিলো৷ এক/দুইজন নয়, অসংখ্য সাক্ষী৷ এরা কিয়ামতের দিন তার বিপক্ষে তার কৃত গোনাহের সাক্ষী হবে৷ ®©®ইবনে মাজাহ এর বর্ণনায় এসেছে এ সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস। ২, ★হযরত আয়েশা (রা)থেকে বর্ণিত, রাসূলে করিম (স) এরশাদ করেছেনঃ কলা ইয়া আয়শাতু ইয়ায়াকি মুহকরতি জুনবা ফাইনন্নালহা মিনাল্লাহি তালিবা। ★অনুবাদঃ হযরত আয়েশা রা হতে বর্ণিত, রাসূলে করিম (সা) এরশাদ করেছেনঃ হে আয়শা ছোট ছোট ও নগণ্য গুনাহ থেকে ওদূরে সরে থাকা বাঞ্ছনীয়, কেননা সে সম্পর্কে কেয়ামতের দিন আল্লাহর দরবারে জিজ্ঞেসাবাদ করা হবে ★শিক্ষাঃ ★ প্রথমত, ক্ষুদ্র নগণ্য গুনাহসমূহ অবজ্ঞা করা এই বিন্দুমাত্র পরোয়ানা করার একটা ভাবধারামুসলমানদের মধ্যে সাধারণভাবে পরিলক্ষিত হয় এ তো সামান্য ব্যাপারে এতে আর কি হবে ভাবখানা আমাদেরকে যেন এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে।কিন্তু একটু গভীরভাবে তলিয়ে দেখলে স্পষ্টভাবে বুঝতে পারা যাবে যে, এমন মনোভাব কোনোভাবেই ভালো ফল বয়ে আনতে পারে না। আর এই বেপরোয়া ভাব ঈমানদারদের জন্যে বড়ই মারাত্মক! কেননা কবীরা গুনাহ যেমন মুসলমানকে জাহান্নামের বিপদে নিক্ষেপ করে, ছোট ছোট প্রকাশ্য গুনাহের ব্যাপাররি তার চাইতে কিছুমাত্র সামান্য নয়।ছোট গুনাহ ছোটই ;কিন্তু তাই যদি বারবার করা হয়,তবে তা স্তূপীকৃত হয়ে পড়ে। তখন তা কবীরা গুনাহ থেকেও বেশি মারাত্মক হয়ে পড়তে পারে এটা কিন্তু ভাব্বার বিষয় । সর্তকবাণ ব্যক্তি দের সব সময় বিষয় টা মাথায় থাকে। ★দিতীয়ত,ছোট ছোট গুনাহ করতে করতে মানুষ এক সময় বড়ো গুনাহ করতে আর ইমানে বাধে না এবং সে গুনাহের কাজে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। আর গুনাহের কাজে অভ্যস্ত হলে আর গুনাহের প্রতি কোনো ঘৃণাই থাকে না। গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার কোনো প্রবণতাই আর অবশিষ্ট থাকে না। আর এই অবস্থা যার হয় সে যতবড় ঈমানদারই হোক না কেন, তার পক্ষে বড় বড় ( কবীরা) গুনাহতে লিপ্ত হওয়া খুব সহজ হয়ে পড়ে। প্রসিদ্ধ মনীষী হাফেয ইবনে কায়্যিম (রা) লিখেছেনঃ গুনাহ কত ছোট সেদিকে খেয়াল দিও না বরং এর মাধ্যমে যে আল্লাহর নাফারমানী করার দুঃসাহস করছ,সেই আল্লাহ বিরাটত্ব ও মহানত্বকেই সামনে রেখে তা থেকে দূরে সরে থাকো।তা হলে কোনো ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র গুনাহও বরদাস্ত করার যোগ্য হবে না বস্তুত বিচার দিনের কঠিন কঠোর সাংঘাতিক রুপ যদি কোনো ঈমানদারের মনে জাগ্রত থাকে তবে সে কোনো ক্ষুদ্র গুনাহও ইচ্ছে করে করতে উদ্যত হতে পারে না হে আল্লাহ আমাদের ছোট বড় কবীরা সগীরাহ প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব ধরণের গোনাহ থেকে হেফাজত করুন৷ আল্লাহুম্মা আমীন। ✍️🇧🇩 জাকারিয়া মুজাহিদ 🇧🇩✍️

Post a Comment

Previous Post Next Post